ইএফটি বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মৌলিক তথ্য আপলোড কার্যক্রম শুরু

শিক্ষা খাতের উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ ও ডিজিটাল করার লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজনীয় মৌলিক তথ্য আপলোড প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে।

২৮ নভেম্বর, ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যেন তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ইএমআইএস সিস্টেমে আপলোড করেন এবং হার্ডকপিগুলো উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অথবা আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে জমা দেন।


প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ

১. তথ্য আপলোড:

প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মৌলিক তথ্য অনলাইনে ইএমআইএস সিস্টেমে আপলোড করবেন। এই তথ্যগুলো যথাযথভাবে আপডেট করা না হলে, ইএফটির মাধ্যমে বেতন প্রদান প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে।

২. হার্ডকপি জমা:

অনলাইনে তথ্য আপলোড করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হার্ডকপি ডকুমেন্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে জমা দিতে হবে।

  • স্কুলের ক্ষেত্রে: উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
  • কলেজের ক্ষেত্রে: আঞ্চলিক পরিচালক।
৩. যাচাই প্রক্রিয়া:

তথ্য যাচাইয়ের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর।

  • অনলাইনে প্রেরিত এবং হার্ডকপি জমা দেওয়া তথ্য যাচাই করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
  • যাচাইয়ের পর, এই তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।

সময়সীমা

  • তথ্য আপলোড ও হার্ডকপি জমা: ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত।
  • তথ্য যাচাই: ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত।

কেন এই উদ্যোগ?

ইএফটি ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে সময় এবং খরচ বাঁচবে। পাশাপাশি, এই পদ্ধতি দুর্নীতি ও ত্রুটি কমাতে সহায়তা করবে।


পরামর্শ ও আহ্বান

প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি আহ্বান, তারা যেন সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে আপলোড করেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেন। এতে শুধু প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে না, শিক্ষক-কর্মচারীরাও সময়মতো তাদের বেতন-ভাতা পাবেন।

এই প্রক্রিয়া শিক্ষা খাতকে আরও আধুনিক, কার্যকর এবং ডিজিটাল করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

আপনার মতামত বা কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান।


লেখক:
শিক্ষা ও ডিজিটাল উন্নয়ন বিষয়ক বিশ্লেষক।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url