বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন
Md. Palash Hussain
২০ নভে, ২০২৪
বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করা এখন বেশ সহজ। বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি অনলাইনে ও সরাসরি উভয় মাধ্যমে মিটার সংযোগের আবেদন গ্রহণ করে। নিচে আবেদন প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো:
বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া:
1. কোন সংস্থা থেকে আবেদন করবেন?
বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা বিদ্যুৎ সংযোগ সরবরাহ করে। আপনার এলাকা অনুযায়ী সংস্থা নির্ধারণ করুন।
- ডেসকো (DESCO): ঢাকা ও আশপাশের এলাকা।
- ডিপিডিসি (DPDC): ঢাকা শহরের কিছু অংশ।
- বিউবো (BPDB): বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
- নেসকো (NESCO): উত্তরাঞ্চল।
- ওজোপাডিকো (WZPDCL): দক্ষিণাঞ্চল।
2. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত করুন:
- জমির মালিকানার প্রমাণপত্র (খতিয়ান বা দলিল)।
- ভাড়া থাকলে মালিকের অনুমতিপত্র।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)।
- বিদ্যুৎ বিলের জন্য ঠিকানার প্রমাণ (যেমন হোল্ডিং নম্বর)।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
3. আবেদন পদ্ধতি:
ক) অনলাইনে আবেদন করুন:
- সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ওয়েবসাইটে যান।
উদাহরণ: - “New Connection” বা “নতুন সংযোগের জন্য আবেদন” অপশনটি নির্বাচন করুন।
- ফর্ম পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করুন।
- ফি অনলাইনে জমা দিন।
খ) সরাসরি অফিসে আবেদন করুন:
- নিকটস্থ বিদ্যুৎ বিতরণ অফিসে যান।
- সংযোগ ফর্ম সংগ্রহ করুন।
- ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে জমা দিন।
4. আবেদন ফি এবং চার্জ:
আবেদন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। ফি নির্ভর করে সংযোগের ধরন ও লোডের পরিমাণের উপর:
- বাসাবাড়ি: সাধারণত ৫,০০০-৭,০০০ টাকা।
- বাণিজ্যিক: ফি তুলনামূলক বেশি।
5. আবেদন পরবর্তী প্রক্রিয়া:
- আপনার জমা দেওয়া তথ্য যাচাই করা হবে।
- স্থানীয় অফিস থেকে পরিদর্শক আপনার ঠিকানায় পরিদর্শন করবেন।
- অনুমোদনের পর বিদ্যুৎ মিটার স্থাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
সতর্কতা:
- সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন।
- দালাল বা মধ্যস্থতাকারী এড়িয়ে সরাসরি অফিস বা অনলাইন মাধ্যমে আবেদন করুন।
কোম্পানির হেল্পলাইন:
যদি কোনো সহায়তা প্রয়োজন হয়, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাস্টমার সার্ভিস বা হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।