নগদ : বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক - বিস্তারিত বিশ্লেষণ

Nagad Digital Bank


ভূমিকা:

সোমবার, ৩ জুন ২০২৪, ঐতিহাসিক এক ঘটনায়, নগদ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে চূড়ান্ত লাইসেন্স লাভ করে। নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসিকে তালিকাভুক্ত ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আইনি বিশেষ ছাড় প্রদান করে।

এই লাভের মাধ্যমে নগদ শুধুমাত্র মোবাইল অর্থ লেনদেনের মাধ্যম থেকে বেরিয়ে এসে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিষেবা:

নগদ এখন গ্রাহকদের নীচের উল্লেখিত সেবা প্রদান করবে:

  • ব্যাংক হিসাব খোলা: যেকোনো ব্যক্তি সহজেই নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন।
  • টাকা জমা ও উত্তোলন: নগদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকরা সহজেই টাকা জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন। নগদের নেটওয়ার্কে ১০ লাখেরও বেশি এজেন্ট পয়েন্ট এবং ৮০,০০০ এরও বেশি ATM রয়েছে।
  • মোবাইল ব্যাংকিং: নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা তাদের হিসাব পরিচালনা করতে পারবেন, বিল পরিশোধ করতে পারবেন, টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন, মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন এবং আরও অনেক কিছু করতে পারবেন।
  • লোন: নগদ বিভিন্ন ধরণের ঋণ প্রদান করবে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহ ঋণ, SME ঋণ এবং কৃষি ঋণ।
  • ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড: নগদ ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডও প্রদান করবে।

ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্সের তাৎপর্য:

নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স লাভের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে:

  • আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি: নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিষেবাগুলি দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে, যাদের বর্তমানে ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রবেশাধিকার নেই, তাদের জন্য আর্থিক পরিষেবাগুলি আরও অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলবে। বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশে ৫০% এরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিষেবাগুলি এই ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করবে।
  • ব্যাংকিং ব্যবস্থার উদ্ভাবন: নগদ ডিজিটাল ব্যাংকিং क्षेत्रে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করবে
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url